আহসান হাবিব শিমুল(আদমদীঘি প্রতিনিধি)
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রামপুরা গ্রামে সোহেল রানা (৩৫) নামের এক ব্যক্তি সংখ্যালঘু পরিবারের এক প্রবাসির স্ত্রী (৩২) কে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
গ্রামে সাড়া জাগানো ঘটনাটি একটি প্রভাবশালী মহল ভয়ভীতিসহ নানা হুমকি ধামকি দিয়ে তিন দিন চাপা দিয়ে রেখেছে। এদিকে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের তিন দিনেও পুলিশ মামলা গ্রহন করে নি বলে অভিযোগ নির্যাতিত গৃহবধূর।
জানা গেছে, রবিবার রাতে আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে ওই গৃহবধূর ঘরে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার এ ঘটনা ঘটায় গ্রামের ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে পরনারীতে আসক্ত লম্পট সোহেল রানা। এ ব্যাপারে ওই প্রবাসির স্ত্রী বাদি হয়ে সোমবার রাতে আদমদীঘি থানায় একটি অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে সোহেল রানা গা-ঢাকা দিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসি। কিন্তু সোহেল রানার বাবা হামিদুল বিষয়টি অস্বীকার করেন। মামলার বাদি ঘটনার শিকার কুয়েত প্রবাসির স্ত্রী জানায়, তার স্বামী বাড়ি বা দেশে না থাকার সুযোগে তার গ্রামের সোহেল রানা নামের ওই লম্পট ব্যক্তি প্রায় উত্যক্তসহ অশ্লিল কথাবার্তা এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
প্রতি দিনের মত রবিবার রাতের খাবার পর ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে, সেখানে ওৎ পেতে থাকা লম্পট সোহেল রানা তাকে ঝাপটে ধরে এবং মুখে কাপড় বেঁধে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার ভাসুর টের পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে সোহেল রানাকে ধরার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর একটি মহল আপোষের মাধ্যমে ধামাচাপা দিতে নানা ভাবে হুমকি ধামকি অব্যহত রাখায় দুই সন্তান নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন বলে দাবী করেছেন ওই সংখ্যালঘু গৃহবধূ।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন বাদিনীর অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করতে থানার উপ-পরিদর্শক রকিব উদ্দিনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপ-পরিদর্শক রকিব উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্ততি চলছে।